শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
লাইফস্টাইল ডেস্ক।।
আজকাল বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ক্যাপসিকাম ব্যবহার করা হয়। এটি খাবারে ভিন্ন স্বাদ যোগ করে। বাজারে সবুজ, লাল, হলুদ এই তিন রঙের ক্যাপসিকাম পাওয়া গেলেও স্বাদ আর রঙের জন্য সবচেয়ে বেশি নজর কা়ড়ে লাল। তবে তুলনামুলকভাবে সহজলভ্য হওয়ায় সবুজ রঙের ক্যাপসিকাম বেশি ব্যবহৃত হয়। ক্যাপসিকামের নানা উপকারিতা রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে ৮৬০ মিলিগ্রাম প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ভিটামিন সি থাকে। এছাড়াও এতে ভিটামিন বি, ই, কে, থিয়ামিন, ফলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্ল্যাভিন ইত্যাদি পাওয়া যায়। কোন ধরনের ক্যাপসিকামে কি পরিমাণে পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়-
লাল ক্যাপসিকাম: লাল ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণও বেশি থাকে। লাল ক্যাপসিকাম খেলে ত্বকের স্বাভাবিকতা বজায় থাকে। এটি চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়, চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে কোলেস্টেরল কম থাকায় এটি মোটা হওয়ার প্রবণতা কমাতে ভূমিকা রাখে। ত্বক পরিষ্কার রাখতে ক্যাপসিকাম বেশ উপকারী। লাল ক্যাপসিকাম শরীরের যেকোন ধরনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ক্যাপসিকাম খেলে মাথার তালুর রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সবুজ ক্যাপসিকাম: সবুজ ক্যাপসিকামও বিভিন্ন পুষ্টি উপকরণে ভরপুর। এই ক্যাপসিকামটি একটু অল্প বয়সীদের জন্য উপকারী। এতে ক্যাপসাইসিনস নামক এক ধরনের উপাদান থাকে যা ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের সংযুক্ত হওয়াতে বাধা দেয়। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। এছাড়া এই ক্যাপসিকাম মাইগ্রেন, সাইনাস, সংক্রমণ, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে কাজ করে। সবুজ ক্যাপসিকাম শরীরের বাড়তি ক্যালরি পূরণে সাহায্য করে। ফলে এই ক্যাপসিকাম খেলে চর্বি জমে না। সেই সঙ্গে ওজনও বাড়ে না।
হলুদ ক্যাপসিকাম: দেখতে উজ্জ্বল হলুদ ক্যাপসিকামে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ফ্রি রেডিকেলে সঙ্গে লড়াই করে এবং সেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রোধ করে। এই ক্যাপসিকামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সহায়তা করে। এই ক্যাপসিকাম প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এই ক্যাপসিকাম হজমশক্তি বাড়ায়, কোলেস্টেরল কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ভূমিকা রাখে। পাশাপশি এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
কেন লাল ক্যাপসিকামের চাহিদা বেশি: কমবেশি সব ক্যাপসিকামেই যথেষ্ট পুষ্টিগুণ রয়েছে। তবে অন্যান্য ক্যাপসিকামের চেয়ে লাল ক্যাপসিকামে বিভিন্ন উপকরণ তুলনামুলকভাবে একটু বেশি পাওয়া যায়। এই ক্যাপসিকাম ত্বক পরিষ্কার রাখতে বেশ উপকারী। ত্বকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে ত্বকের ব্রণ ও র্যাশের হাত থেকে রক্ষা করে ক্যাপসিকাম। লাল ক্যাপসিকাম যেকোনো ব্যথা থেকে আরাম দেয়, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এই ক্যাপসিকাম খনিজের অভাবও পূরণ করে। পটাশিয়াম বেশি থাকার কারণে বয়স্কদের লাল ক্যাপসিকাম খাওয়াই ভালো।